
সেখানে ক্ষমতা হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সুপার সাইক্লোনটি।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তারা যে কোন সময়ে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতক্ষীরা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি।
আরও পড়ুনঃ মনসুনের আগে বঙ্গোপসাগরে এরকম ঝড় এই শতাব্দীতে প্রথম বলে ভারতে হুঁশিয়ারি
বড় ক্ষতি সাতক্ষীরায়:
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল সকাল বেলা বলেন, অন্ততঃ চারটি উপজেলার ২৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তিনি সঠিক কোন হিসেব দিতে পারেননি, জানান, দুপুর নাগাদ একটা চিত্র পাওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত যে ধরণের খবরাখবর পাচ্ছেন, তাতে অন্ততঃ ৫/৭টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করে বহু চিংড়ি ঘের ও বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এছাড়া বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর তিনি দিচ্ছেন।
সাতক্ষীরায় আমেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের বাইরে সাতক্ষীরাতেও আমের বড় ধরণের ফলন হয়।
গাছপালা পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
দমকল কর্মীরা রাস্তা থেকে ভাঙা গাছপালা সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করছেন বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসক।
সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি উপজেলা হচ্ছে – শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ এবং সাতক্ষীরা সদর।
ঘূর্ণিঝড়টি মূলতঃ বাংলাদেশে প্রবেশ করে শ্যামনগরের সর্ব দক্ষিণের লোকালয় মুন্সীগঞ্জ সংলগ্ন সুন্দরবন দিয়ে। এখান থেকে কিছুটা দক্ষিণে এগোলেই সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ শুরু।
মুন্সীগঞ্জের সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন একটি চিংড়ি ঘেরের মালিক।
তিনি জানান, কয়েক একর আকারের তার এই চিংড়ি ঘেরটি পানিতে তলিয়ে গেছে।
তার গ্রামের কয়েকশো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানাচ্ছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলছিলেন, তার গ্রাম সংলগ্ন নদীটির অন্ততঃ দুটি পয়েন্ট থেকে বাঁধ ভেঙে গেছে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও পয়েন্ট দুটি দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যহত ছিলো।
মি. আল মামুন বলছিলেন, এখনই সংস্কার করা না হলে ভাঙা এই পয়েন্ট দিয়ে ঢোকা পানি সংলগ্ন গ্রামগুলোর বাড়িঘরগুলোকেও ডুবিয়ে দেবে।
স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা ডেইলি সাতক্ষীরা’র সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম বিবিসিকে বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি যা হিসেব করেছেন তাতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
Visit Our Facebook Page : Durdurantonews
Follow Our Twitter Account : Durdurantonews