
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই প্রথম যারা ইইউ’র বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থ হলে রপ্তানি আটকে দেয়া যাবে বলে নতুন যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে সেটির প্রয়োগ করলো।
অস্ট্রেলিয়া অবশ্য বলেছে, এ চালান আটকে দেয়ায় তাদের টিকাদান পরিকল্পনায় খুব বেশি সমস্যা হবে না।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইইউ সদস্য দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের যে অঙ্গীকার করেছিল, তার মাত্র ৪০ শতাংশ এ বছরের প্রথম তিন মাসে সরবরাহ করতে যাচ্ছে।
এ জন্য তারা উৎপাদন স্বল্পতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
জানুয়ারিতে ইতালির তখনকার প্রধানমন্ত্রী জিউসেপে কন্টি টিকা সরবরাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের বিলম্বকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যায়িত করে কোম্পানি দুটির বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা সংশ্লিষ্ট বিরল ও বিপদজনক উপসর্গে আক্রান্ত বিশ্বের বেশ কিছু শিশু
টিকাদানে ধীরগতির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তীব্র সমালোচনার মুখ পড়তে হচ্ছে।
তবে ইতালির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে ইইউ বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দিক থেকে কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
ইতালি সরকার গত সপ্তাহেই ইইউকে জানিয়েছিল যে তারা টিকা রপ্তানি আটকে দিতে যাচ্ছে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা এ রপ্তানি অনুমোদনের জন্য গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি অনুরোধ পেয়েছিল।
তিনি জানান, এর আগে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য কিছু টিকা রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হলেও এবারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ওদিকে অস্ট্রেলিয়া বলছে, তারা ইতোমধ্যে তিন লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে এবং আগামী মাস থেকে নিজেরাই উৎপাদন করতে যাচ্ছে।
Visit Our Facebook Page : Durdurantonews
Follow Our Twitter Account : Durdurantonews